জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদল নেতা সাদমান সাম্যর বিরুদ্ধে। হামলার শিকার জাহিদ হাসান জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আহত জনিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আল খিদমাহ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জনিকে প্রথমে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান করা বাসে আটকে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মারধর করেন ছাত্রদল নেতা সাম্য। পরে তাকে বাস থেকে বের করে মারতে মারতে ক্যাম্পাসের পাশে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। এসময় ছাত্রদল নেতা সাম্যর সাথে ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদমান সাম্য শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের অনুসারী। সাদমান সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের ১ নম্বর সদস্য। 

এ বিষয়ে হামলাকারী সাদমান সাম্য বলেন, ও (জনি) হ্যারাস করছিল। ওর সাথে কথা বললে সে বেয়াদবি করছে, মারতে আসছে। তখন সিচুয়েশন অন্যরকম হয়েছে। ওদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা জনির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থা নেই। 

এদিকে এ হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে, আমরা শুনেছি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে আমরা তার তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এমএল/পিএইচ