নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান, গণহত্যার স্বপক্ষে সম্মতি এবং পূর্ববর্তী নানা গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহমুদুল ইসলাম এবং সহযোগী অধ্যাপক হোসাইনুল বান্না।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত পয়ালা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার স্বপক্ষে সমর্থনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মাহমুদুল ইসলাম, ড. হুসাইনুল বান্না ও চেয়ারম্যান মো. গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়া, তাদের বিরূদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, প্লেজিয়ারিজম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শান্তি এড়িয়ে যাওয়া, গণহত্যার পক্ষে সমর্থন, রেজাল্ট টেম্পারিং এবং নিয়োগ সিন্ডিকেটের অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।  

বিশেষত মো. গোলাম মাওলা ও ড. মো. মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন তারা।

তাছাড়া, ড. হুসাইনুল বান্নার বিরুদ্ধে গত ১৬ আগস্ট জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও নিহতদের নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ প্রকাশিত হয়।

উর্দু বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ঝুমু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যেসব শিক্ষক অবস্থান করছেন, তাদের আমরা শিক্ষক হিসেবে মানি না। তারা শিক্ষকের মর্যাদা হারিয়েছেন। এসব শিক্ষক বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করতেন। এমনকি আমাদের পোশাক নিয়েও কথা বলতেন। ডিপার্টমেন্টের ট্যুরে গেলে অনেক সময় মেয়েদের গায়ে হাত দিতেন। এমন শিক্ষকদের ক্লাস আমরা কেউ করতে চাই না। 

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, এই শিক্ষকরা আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। আমরা কী অবস্থায় আছি চেয়ারম্যান স্যার সে বিষয়ে কোনো খোঁজ নেননি। এছাড়া, ক্লাসের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হতো। গোলাম মাওলা ও মাহমুদুল মেয়েদের ড্রেস নিয়েও কথা বলতেন। কেউ যদি খুব পর্দা করে আসতেন, তাকে নানাভাবে হয়রানি করতেন। আমরা তাদের অব্যাহতির দাবি জানাই। 

কেএইচ/কেএ