বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিরপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে নীলক্ষেত মোড় ঘুরে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা যেমন ছাত্র-জনতার ওপর নির্ভিচারে গুলি চালিয়েছে তেমনি সরকারের দলীয় ক্যাডার বাহিনীও নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। সে জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তেমনি তাদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

মিছিল শেষে সমাবেশে ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন বলেন, ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার হীন ষড়যন্ত্র করেছে। নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতার গদি টিকিয়ে রাখতে চেয়েছে। আমরা তাদের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। খুনি সন্ত্রাসীদের দল বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। অবিলম্বে আইন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং এসব খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা নিজেদের জীবন দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তারা আবারও ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে দেশে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। সারা দেশের ছাত্রসমাজ এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং সতর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করতে ছাত্র জনতা সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আমরা চাই না পুনরায় ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা আমাদের উপর ভর করুক। সেজন্য এই আওয়ামী লীগের রাজনীতিও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।

আরএইচটি/এসকেডি