প্রায় চার দশক ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১টি হল। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালালেও হলগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে, এবার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর যেকোনো মূল্যে হল উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ১৩ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নামছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুযায়ী, বিলুপ্ত কলেজের (২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়) সব সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে মুসিহ মুহিত অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফার্মটি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ১২টি হল ছিল বলে অডিটে উল্লেখ করে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন হল ইস্যুতে নীতি-নির্ধারণী মহলের টনক নড়ে। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক মাসের মধ্যে ১২টি হল ও বেদখল হওয়া অন্যান্য সম্পত্তি উদ্ধারে সুপারিশ করতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। ২০০৯ সালের মার্চে পাঁচটি হল (আনোয়ার শফিক হল, শাহাবুদ্দিন হল, আজমল হোসেন হল, তিব্বত হল ও হাবিবুর রহমান হল) বিশ্ববিদ্যালয়কে লিজ দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

এখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশ। এই সময়ে জবির দখল হয়ে যাওয়া হলগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা

একই বছরের ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঁচটি হলের দীর্ঘমেয়াদি লিজের আবেদন করে। ৯ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক আইনগত সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়কে হলগুলো লিজের পরিবর্তে অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে বললেও একাধিক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ও আইনি জটিলতায় হল উদ্ধার কার্যক্রম থমকে থাকে।

এখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশ। এই সময়ে জবির দখল হয়ে যাওয়া হলগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

সমাজকর্ম বিভাগ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন আলম সান বলেন, জবি শিক্ষার্থীরা দেশের সবচেয়ে বঞ্চনার শিকার। এত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও প্রায় সবাই আবাসিকসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে দিনের পর দিন হলগুলো ক্ষমতার জোরে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীদের রক্তও ঝরিয়েছে। এখন দেশ সংস্কারে নেমে বৈষম্য দূর করতে জবিয়ানরা জেগেছে। আমরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের অধিকার বুঝে নেব।
এদিকে, হলগুলো উদ্ধারে রোববার (১১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা। দাবিগুলো হলো-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রভোস্ট ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের প্রধান এবং রেজিস্ট্রারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। 

২. ক্যাম্পাসের ভেতরে লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসের বাইরে তার রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। এটা যে কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ক্যাম্পাসের ভেতরে সবাই সাধারণ ছাত্র।

৩. শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সার্বিক খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

৪. আগে ছাত্রলীগের পদধারী ছিল এবং এর ওপর ভিত্তি করে ক্যাম্পাসে চাকরি পেয়েছে তারা এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কামরুন নাহার লিপিসহ যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতার সঙ্গে সম্পৃক্ত, শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের নিয়ে ঠাট্টা টিটকারি করেছে, তাদের আগামী দুইদিনের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। 

৫. আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখের মধ্যে জকসুর নীতিমালা প্রণয়ন করে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. বেদখলে থাকা হলগুলো অবিলম্বে দখলমুক্ত করতে হবে এবং মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। 

৭. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে  ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

৮. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

৯. ক্যাফেটেরিয়ার জন্য বাজেট বরাদ্দ রেখে খাবারের মান উন্নত করতে হবে এবং অতি শিগগির নতুন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

১০. নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের মান উন্নত করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে শক্ত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

১১. ক্যাম্পাসের আশপাশে চাঁদাবাজি, রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

১২. পোষ্য কোটা বাতিল এবং রাজনৈতিক নিয়োগ-বাণিজ্য আজীবনের জন্য বন্ধ করতে হবে।

১৩. গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে।

জবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, আমাদের নিজেদের ১১টি হল থাকা সত্ত্বেও আমরা জবি শিক্ষার্থীরা যেভাবে পুরান ঢাকার মেসে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করি, তা খুবই কষ্টের। বেদখল হওয়া হলগুলো দখলমুক্ত করতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইয়েরা নিজেদের বুকের রক্ত পর্যন্ত ঝরিয়েছেন। দখলদার সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মুখে তারা তাদের অধিকার আদায় করতে পারেননি। কিন্তু আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের অধিকার যেকোনো মূল্যে আদায় করে ছাড়ব। আমাদের এ অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের শিক্ষকরা পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, এর আগেও ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে হল উদ্ধারে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন হল উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে তারা। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি শিক্ষার্থীরা। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করা হয়। পরবর্তীতে সরকার জবিকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

তিনি বলেন, আমাদের এই ১১ হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন অবস্থান করেছে। যারা হলগুলো দখল করে নিয়েছে, তারা কোন ডকুমেন্টসের ওপর ভিত্তি করে দখল করেছে সেটি দেখার বিষয় আছে। হল উদ্ধারের জন্য দুটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। একটি হলো, আইনগত বিষয়, আরেকটি আমাদের অধিকারের বিষয়। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য যা করা দরকার, তাই করব।
যেভাবে দখল হলো জবির ১১ হল

আবদুর রহমান হল : আরমানিটোলা বটতলার ৬, এসি রায় রোডের হলটিতে বাস করছেন পুলিশ সদস্যরা। ঢাকা আঞ্জুমান সংস্থা হলটি দখলের চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। ১৯৯৬ সালে সংস্থাটি মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। মালিকানার রায় পেলেও মামলা পরিচালনায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করায় সংস্থাটির সভাপতি কেএম আকবরের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়।

মূলত এর মালিক ছিলেন চিন্ময়ী দেবী নামে এক হিন্দু নারী। ১৯৬৫ সালে যা অর্পিত সম্পত্তি হয়। পরে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে থাকা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে শিক্ষার্থীরা হলটি ছেড়ে দেন। পরে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের পরিবারের লোকজন বসবাস শুরু করেন।

শহীদ আনোয়ার শফিক হল : আরমানিটোলা মাহুতটুলীর ১, শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোডের ৪০ কাঠার হলটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। পুরোনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করে টিন, হার্ডওয়্যার ও ফার্নিচারের গোডাউন তৈরি করেছেন এসব প্রভাবশালীরা। এদের অনেকেই ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের আশীর্বাদপুষ্ট বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে এ হল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

তিব্বত হল : পাটুয়াটুলী ওয়াইজঘাট এলাকার ৮ ও ৯ নম্বর জিএ ল পার্থ লেনের ৮.৮৮৯ কাঠার ওপর নির্মিত হলটিও দখলের অভিযোগ রয়েছে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে হলটির স্থানে স্ত্রীর নামে গুলশান আরা সিটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন তিনি। প্রতিবাদে কয়েক দফা আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তবে, তিনি জায়গাটি তার নিজস্ব বলে দাবি করেন।

৯০-এর দশকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হলে হলটির দোতলায় আগুন দেওয়া হয়। তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত ভবনটিতে ‘তিব্বত হল’ লেখা সাইনবোর্ড থাকলেও শিক্ষার্থীরা আর হলটিতে ফিরে যেতে পারেননি।

সাইদুর রহমান হল ও রউফ মজুমদার হল : হিন্দুদের দান করা সম্পত্তির ওপর নির্মিত হল দু’টির বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই। মৌখিকভাবে দান করা সম্পত্তিটি জনৈক আইনজীবী ইব্রাহিম জাল দলিল করে বিক্রি করে দেন বলে জানা যায়। পাশের রউফ মজুমদার হল জাল দলিলের মাধ্যমে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা বিক্রি করে দেয়।

শহীদ আজমল হোসেন হল : পাটুয়াটুলীর ১৬ ও ১৭ নম্বর রমাকান্ত নন্দী লেনে অবস্থিত হলটিতে বসবাস করত পুলিশ সদস্যদের পরিবার। পরে হলটির জায়গায় রমাকান্ত নন্দী লেন কল্যাণ সমিতি এবং লায়ন্স ফ্রাইডে ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হয়। ১৯৯৬ সালে এই হলের একাংশ দখল করেন স্থানীয় মোশারফ হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি।

বজলুর রহমান হল : বংশালের ২৬, মালিটোলা এলাকার হলটিতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় বানানো হয়েছে। কিছু অংশ স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দখল করেছে। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ছাত্ররা হলটি ছাড়তে বাধ্য হন।

বাণী ভবন : ১ নম্বর ঈশ্বরচন্দ্র দাস লেনের ৩৫ ও ৩৬ প্যারিদাস রোডের ১০ কাঠার ওপর নির্মিত বাণী ভবনের কিছু অংশে জবির কয়েকজন কর্মচারী বসবাস করলেও দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা বেদখল রয়েছে। আর স্থানীয়দের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অবস্থানরত কর্মচারীরা। হলটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় পাবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

নজরুল ইসলাম হল : গোপীমোহন বসাক লেনের ৫/১, ২, ৩, ৪ ও ৬ নম্বর টিপু সুলতান রোডের হলটির ২০ কাঠা জায়গায় গড়ে উঠেছে জামেয়া শরীয়াবাগ জান্নাত মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এ হলের কিছু অংশে বর্তমানে জবির ১৪ জন শিক্ষার্থী বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

শহীদ শাহাবুদ্দিন হল : তাঁতীবাজার ৮২, ঝুলনবাড়ী লেনে অবস্থিত হলটি দুই যুগেরও বেশি সময় পুলিশের দখলে ছিল। ২০০৯ সালের জুনে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক এর দখল নেন।

কর্মচারী আবাস : তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসস্থল ২৬, পাটুয়াটুলীর কর্মচারী আবাসে ছয়তলা বিশিষ্ট ক্রাউন মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। জনৈক ওবায়দুল্লাহ এর মালিকানা দাবি করছেন বলে জানা যায়।

এমএল/কেএ