জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার করতে যা যা দরকার তাই করব। এজন্য দুটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। একটি হলো- আইনগত বিষয় আরেকটি, আমাদের অধিকারের বিষয়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে হল উদ্ধার আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন হল উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। পরে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হল আন্দোলন করে পরে সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমাদের এই ১১টি হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন অবস্থান করেছে। যারা হলগুলো দখল করে নিয়েছে তারা কোন ডকুমেন্টসের ওপর ভিত্তি করে দখল করেছে সেটা দেখার বিষয় আছে।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল ১১টি হল দখলমুক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার মাঠে নামার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবির প্রধান সমন্বয় নূর নবী।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী স্যারের নেতৃত্বে আগামীকাল সকাল ১০টায় হল দখলমুক্ত করার আন্দোলন শুরু হবে। আশা করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল উদ্ধারে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও যুক্ত হবেন।

এমএল/এমএ