সিলেটে গভীর রাতে মেসে তল্লাশি চালিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীসহ মোট তিন শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক।

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নেহারীপাড়া এলাকার মেস থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সোহাগ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া। তারা সবাই নেহারীপাড়ায় ব্লক সি-৭১ নম্বর বাসার একটি মেসে ভাড়া থাকেন।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনেন। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।

অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন বলেন, বেলা ১১টায় আমরা খবর পাই, সন্দেহভাজন হিসেবে ওই শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়। তারা আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছাড়তে রাজি হন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদে আছেন। 

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, রাতে আমাদের কাছে খবর আসে ওই মেসে মামলার আসামি অবস্থান করছেন। রাতে আমরা মেসে যাই। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দরজা খুলে দিলেও একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। দেড় ঘণ্টা পর কক্ষ খুললে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরে শিক্ষকরা এলে শিক্ষার্থীদের তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশের ওয়াকিটকির শব্দে ঘুম ভাঙে। পুলিশ কক্ষে সব কিছু তল্লাশি করে। বাড়ি কোথায়, কেউ কোনো দল করে কি না, সবাইকে জিজ্ঞেস করে। তারপর সবার মোবাইল চেক করে। পরে তিনজনকে তুলে নিয়ে যায়।

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর