কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরসহ গ্রেপ্তার সব ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া, ‘জোরপূর্বক আন্দোলন বন্ধের স্বীকারোক্তি আদায়’ করাসহ সব নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওফিকা প্রিয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানান।

জোটের নেতারা বলেন, ‘গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও বাকের মজুমদারকে চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে তুলে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন দমাতে আগেও তাদের গুম করে অত্যাচার করা হয়েছে, নৃশংসভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পাশে ফেলে রাখা হয়। প্রথমবার গুম-নির্যাতনের পরও তারা ছাত্র-জনতার প্রতি এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আপসহীনতার পরিচয় দেন। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার এই দৃঢ়তায় ভীত হয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে আবারও তাদের তুলে নিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং সারা দেশে অব্যাহত গুম, খুন, নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা।

কেএইচ/এসএসএইচ