কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত নৃশংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৭ জুলাই) সমিতির সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা সরকারের কাছে কোটা ব্যবস্থার আইনানুগ ও যৌক্তিক সমাধানের জন্য জোর দাবি জানান।

বিবৃতির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সহিংসতায় শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত নৃশংস ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, মর্মাহত ও শোকাহত। চবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা এসব নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সহিংসতায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাদের শোকসভা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

'এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে চবি শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত ব্যথিত এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সবার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি, এ সকল নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের এবং কোটা ব্যবস্থার আইনানুগ ও যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।'

প্রসঙ্গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দেশের কোথাও কোথাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।

এরই মধ্যে গত রোববার কোটা নিয়ে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আন্দোলন পরিস্থিতি। সবশেষ মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হন।

এমআর/এসকেডি