চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে কোন খোঁজ না নেওয়ায় তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ ফটকের সামনে বেরোবি ভিসি অধ্যাপক ড.হাসিবুর রশীদ ও প্রক্টর শরিফুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ভিসি এবং প্রক্টর স্যার হচ্ছেন কাপুরষ। আন্দোলনে আমাদের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে, ছাত্রলীগ হামলা করে, তখন চুরি শাড়ি পরে আমাদের কাপুরষ অভিভাবক ভিসি-প্রক্টর ঘরের মধ্যে বসে থাকেন। আমরা জানতে পেরেছি তাদের ইঙ্গিতেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর। আমরা ধিক্কার জানাই সে ভিসি-প্রক্টরকে। আমরা তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এই মেসেজ দিতে চাই... হয় তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন, না হয় পদত্যাগ করবেন।

উল্লেখ্য যে, ১৬ জুলাই শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ লাগার পর থেকে বেরোবি ভিসি-প্রক্টরকে ক্যাম্পাসের কোথাও দেখা যায়নি। এমনকি পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেছেন না। এ নিয়ে বেরোবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই দুপুর ২টার দিকে রংপুরের খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।

নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

শিপন তালুকদার/কেএ