কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাস থেকে সটকে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাত্র রাজনীতি মুক্ত করার আল্টিমেটামের মধ্যেই বিকেলের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন তারা।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুবি প্রশাসন। পরে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওই বিক্ষোভ থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

বিকেল ৫টার দিকে সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সুনসান নীরবতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। 

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হলের ছাত্রলীগের কর্মীসমর্থকরা হল ছেড়ে চলে যেতে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাত্র রাজনীতি মুক্ত হওয়ার খবরে ধীরে ধীরে সটকে পড়তে শুরু করেন এ ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এদিকে, বছর খানেক হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। নেতৃত্বহীন কুবি ছাত্রলীগ কয়েকভাগে বিভক্ত। অন্যদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার পর শুরু হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক। বুধবার রাত পর্যন্ত শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন ফেসবুকে পোস্ট করে।

এসব বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতি পদপ্রত্যাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী আবু শাহাদাত মো. সায়েম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্যই। আমরাও চাই কোটা সংস্কার হোক।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত ঢুকে পড়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। আমরাও চাই না একজন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হোক কিংবা কোনো ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

আরিফ আজগর/কেএ