জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখলে রেখেছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। নেই শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন। এরপর সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনে নিহতদের উদ্দেশ্যে গায়েবি জানাজা ও কফিন মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো অবস্থান লক্ষ্য করা যায়নি।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের দিকে যান। সেখানে হল প্রভোস্ট থেকে ছাত্রী হল বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারের লিখিত নোটিশ নেন তারা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির মুখোমুখি হন। এরপর ছয় দফা দাবিতে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

তবে ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের কোন অবস্থান না দেখা গেলেও ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকা ভিক্টোরিয়া পার্ক, সদরঘাট, শাঁখারিবাজার এলাকায় মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন খণ্ড খণ্ডভাবে অবস্থান করতে দেখা গেছে। 

এদিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী জাতীয় কবি নজরুল কলেজের সামনে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া দিয়েছে জবি শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ছাত্রলীগ সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম সামী বলেন, আমাদের উপর যেহেতু হামলা করা হয়েছে গতকাল, তাই সন্দেহজনক কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। সবাইকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আর কারো মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগ লেখা থাকলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

এমএল/এসকেডি