ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বেগম রোকেয়া হলশাখার সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১২টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ঢাকা পোস্টের হাতে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এসেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের একটি দল হলশাখার সভাপতি আতিকা হোসাইনকে টেনে-হিঁচড়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন। এ সময় তারা ছাত্রলীগনেত্রীর উদ্দেশে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। কিছু শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ করতেও শোনা যায়।

 ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে আতিকা বিনতে হোসাইন / ছবি- সংগৃহীত

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আতিকা বিনতে হোসাইনকে আজ হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থান এখন রাজপথে। হলের সাধারণ মেয়েরা মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

তাদের অভিযোগ, হলে থাকাকালে আতিকা বিনতে হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রোটোকল পেয়েছেন। সর্বশেষে আজ তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে, যা গতকাল হওয়ার কথা ছিল। গতকাল তার নেতৃত্বে সাধারণ মেয়েদের ওপর হামলা চালানো হয়। 

হল সূত্রে জানা যায়, ১০ জন নেত্রীকে বের করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে আবাসিক শিক্ষকেরা এসে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেন।

এদিকে, বেগম রোকেয়া হলকে সব ধরনের রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। রাত দেড়টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত লিখিত অঙ্গীকারনামায় তারা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের সই করিয়ে নেন।

অঙ্গীকারনামায় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা রোকেয়া হলের মেয়েরা আজ এই মর্মে লিখিত নিচ্ছি যে, আজ ১৭-০৭-২০২৪ তারিখ থেকে রোকেয়া হলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের ছাত্র রাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবদল, জামাত-শিবির ইত্যাদি) নিষিদ্ধ করা হলো। কোনো ধরনের পলিটিক্যাল রুম বা গণরুম থাকবে না, কোনো পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম হলে হবে না, কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা হলের সাথে থাকবে না।

আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এই দায় প্রশাসন ও হল প্রভোস্টকে নিতে হবে। আজ থেকে রোকেয়া হলকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হলো— উল্লেখ করা হয় অঙ্গীকারনামায়। 

টিআই/কেএ