পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা ছাড়াই আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিসি চত্বর থেকে আপাতত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আজকের মতো এখানে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। সেটি পরে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের একদিকে দাঁড়ানো পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উত্তেজনাপূর্ণ কথা বলছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশকে লাঠিপেটা না করে সরাসরি গুলি করতেও বলেন। এ অবস্থায় পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রেস ব্রিফিং করে আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন। 

এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নির্লজ্জের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। টাকা খেয়ে চাকরি পেয়ে এখন ছাত্রলীগের আদেশ পালন করছেন। তাদেরকে রক্ষা করে আমাদের ওপর হামলার জন্য অপেক্ষা করছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই— যদি মারতেই চান সরাসরি গুলি করে মেরে ফেলুন। লাঠিপেটা করবেন না, আঘাত সইতে পারব না। জীবনের প্রথম কাউকে মারার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছি। নিজের ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে এসেছি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়েছিল প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নিয়ে আসা হয়। 

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এরপর বুয়েট শিক্ষার্থীরা দুই দফায় মিছিল নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে সেখান থেকে ফুলার রোড হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

কেএইচ/এমজে