ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে লাঠি, বাঁশ, রড, হকিস্টিক হাতে হেলমেট পরে জড়ো হচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংঘঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের দেখা যায়। তবে দেশীয় অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতারা মহড়া দিলেও নিশ্চুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দায়সারা মনোভাব দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এ সময় বহিরাগতদের নিয়ে করা কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসন। 

বহিরাগতদের দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আবদুল মুহিত বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতেই এখানে এসেছি। প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্ত সবাইকে জানাতে এসেছি। আমরা অনুরোধ করছি যারা বহিরাগত আছে তারা যেন চলে যায়। আমরা একটু পরে তাদেরকে সরে যেতে মাইকিং করব। আর এই কথাগুলো আপনারা (সাংবাদিক) সবার কাছে পৌঁছে দেন। 

বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেটি গ্রহণ করব, কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

কয়েকশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে কিন্তু প্রশাসন কেন এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি জানতে চাইলে কথা না বাড়িয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কর্মকর্তা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকে ঢাকার দুই মহানগর, থানা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। একই সঙ্গে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অবস্থানরত নেতাকর্মীদের হাতে রড, স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র লক্ষ্য করা গেছে।

রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদের কেউ তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ এবং বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগের ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি রাজু ভাস্কর্যে দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল সাড়ে ৩টা পেরিয়ে গেলেও তা শুরু হয়নি। নেই কোনো ব্যানার, মাইক বা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিও। 

কেএইচ/এমজে