ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর ফলে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে অতর্কিত লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী। 

আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আমাদের এক বড় ভাইকে নিয়ে এসেছি। হঠাৎ করে ছাত্রলীগের একজন রামদা নিয়ে দৌড় দিয়ে এখানে চলে আসে। তার পেছন পেছন আরও ৩০-৪০ জন আসে। এখানে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আমাদের ধরে রাখে। তাদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের মারধর করে।

চিকিৎসা নিতে আসা আহত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমা বলেন, আমাদের ওপর হাসপাতালে তিন থেকে চারবার হামলা করা হয়েছে। ভাঙা লাঠি দিয়ে হাতে আঘাত করা হয়েছে। এখানে থাকা আনসার সদস্যরা আমাদের জিম্মি করে ছাত্রলীগকে হামলা করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে মেডিকেল ডিউটিতে থাকা শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসাইন বলেন, এখানে সবাই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যেন ঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারে, আমরা সেই পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছি।

এর আগে বিকেল ৩টার পর থেকে সাড়ে ৫ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।

ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকে সংঘর্ষে অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এমএল/এমজে