‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে হচ্ছে’
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। যেকোনো বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা। এদিন বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি মেইন গেটের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন। পুলিশ মেইন গেট বন্ধ করে দিলেও বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান নেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মৃত্যুঞ্জয়ী ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন। সেখানে প্রতিবাদী গান, কবিতা এবং পথনাটক পরিবেশন করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’-সহ নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং সাম্যের পক্ষে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে ১৯৫২ এবং ১৯৭১ সালে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরিতে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ কোটা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক সুইট বলেন, আমাদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে তবুও তারা আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আজ আমরা শ্রেণিকক্ষ ফেলে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা বিশৃঙ্খলা না করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
রাকিব হোসেন/এমজেইউ