ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক্সটেনশন বিল্ডিং সংলগ্ন হাবিবের ক্যান্টিনের খাবারে মিলেছে তেলাপোকা। ঘটনায় অভিযুক্ত ক্যান্টিন মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

বুধবার (১০ জুলাই) রাতের খাবার খেতে গিয়ে হলের এক শিক্ষার্থী তার জন্য পরিবেশিত খাবারে তেলাপোকা পান। 

বিষয়টি নিয়ে হলের সায়েদ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে জরিমানা করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হল প্রভোস্টের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে উপস্থিত হয়ে ক্যান্টিন মালিককে জেরা করছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের কাছে নিজেদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। এরপর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম ক্যান্টিন মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। 

অভিযোগকারী সায়েদ মাহমুদ নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি এর আগেও খাবারে ফড়িং পেয়েছিলাম। এই ক্যান্টিনের খাবারের মান অত্যন্ত বাজে। প্রথম দিকে খাবারের অবস্থা ভালো থাকলেও দিন দিন খাবারের মান খারাপ করতে শুরু করে।

অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ক্যান্টিনে বিভিন্ন সময় এক খাবারের পরিবর্তে আরেক খাবার দিয়ে দেয়। ঠিকমতো পরিষ্কারও করে না। এই ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে ক্যান্টিনের মালিক হাবিব বলেন, মানুষের মাঝে মধ্যে ভুল হয়ে যায়। আমি আসলে বিষয়টি খেয়াল করিনি। তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেদিকে আমি খেয়াল রাখবো।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, আমি অভিযোগ শুনে ক্যান্টিন মালিক ও সকল স্টাফদের জড়ো করি। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কথা শুনে ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। এছাড়াও ক্যান্টিন মালিককে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে সে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করে। জরিমানার এই অর্থ এবং হলের ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে ক্যান্টিনের জন্য নতুন আসবাব এবং বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খাতে খরচ করা হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের মেইন ক্যান্টিনের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতেও আমি কাজ করছি। আগামী দুইদিনের মধ্যেই সেটার কাজ শেষ হবে। হাবিবের ক্যান্টিনে যদি আবার কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করি তাহলে তাকে পরিবর্তন করা হবে।

কেএইচ/এমএসএ