কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাঁতীবাজার মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে বাবুবাজার ব্রীজ পার হয়ে কেরানীগঞ্জ, দয়াগঞ্জ ও গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘নো কোটা, নো ডিসক্রিমিনেশন’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন করে কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হবে সেটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। এমন দাবির পেছনে শিক্ষার্থীদের অনেক কারণ আছে। আমরা মনে করি, কোটা ব্যবস্থা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা:

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এমএল/পিএইচ