জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিষয়টি জানিয়েছেন। 

উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের একটি অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চিন্তার একটি বিষয়। কেননা তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে গড়ে ওঠা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি সংগঠনের একটি শাখার সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ সেটি প্রশাসন দেখেছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় এ বিষয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাদেকা হালিম জানান, তার ছাত্রত্বও পর্যালোচনা করা হবে। যেটুকু আমি জানতে পেরেছি, তিনি এখন প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তি রয়েছেন, রেগুলার শিক্ষার্থী নন। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ খুবই মারাত্মক। 

উপাচার্য আরও বলেন, যেহেতু ২০১৬-১৭ সালের মেডিকেল কলেজের প্রশ্নফাঁস হয়েছিল, তখনও আমরা বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেছি। আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, তারাও দেখবে। আর ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যারা আছেন তাদেরও বিষয়টি দেখা উচিত বলে মনে করি।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের মন্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। তবে একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এমএল/পিএইচ