অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ বলেন, বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম ও পেনশন প্রজ্ঞাপন শুধু অর্থের বিষয় নয়, এখানে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা জড়িত। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অতীতেও জাতি শিক্ষকদের সম্মান দিতে পারেনি। ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকেও প্রফেসর করা হয় নাই। ফলে আমরা জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনি। ফলে শিক্ষকদের মর্যাদা না দিলে ভবিষ্যতে উন্নত জাতি তৈরি হবে না।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রত্যয় স্কিমের সঙ্গে আরও ৩টি স্কিম আছে। সেগুলো হলো প্রবাস, প্রগতি ও সুরক্ষা স্কিম। প্রত্যয় স্কিমের সারমর্ম থেকে জানা যাচ্ছে, দুবাইতে ঝাডুদারদের যে পেনশন, শিক্ষকদের সেই একই পেনশন। অর্থাৎ শিক্ষকদের আপনারা কোন পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন একটু ভেবে দেখবেন। অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিল করুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. জি. এম. সাদিদ জাহান সৈকত বলেন, আজ দেশের মানুষ হতবাক কারণ, শিক্ষক সমাজ তাদের অ্যাকাডেমিক কাজ রেখে তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেটা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা শিক্ষক সমাজ উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা এ বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিল করুন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, যতদিন পর্যন্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিল না হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনও ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি।

এমএল/পিএইচ