শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা আসলেও তারা অলস সময় পার করছেন।

ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের দীর্ঘ ছুটির পর আবারও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।  

রাকিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত সপ্তাহে আমি দক্ষিণবঙ্গ থেকে এসেছি। ভালোভাবে ক্লাস শুরু না হতেই আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগে জানলে এখন আসতাম না।

জোবায়ের হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। আজকে পরীক্ষা ছিল স্থগিত হয়েছে। কবে যে আবার পরীক্ষা হবে? পরীক্ষার মাঝে এ অনিশ্চয়তা ভালো লাগে না। 

নাইমুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনেক চেষ্টার ফলে আমাদের ক্যাম্পাস সেশনজট মুক্ত হয়েছে। এ আন্দোলন দীর্ঘ্য মেয়াদি হলে আবারো সেশনজটে পরতে পারে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এ কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ জারিকৃত ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর না হওয়ায় পর্বর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বেরোবিতে সকল ক্লাস, পরীক্ষা, সমন্বয় সভা, ভর্তি কার্যক্রম ও প্রভোস্ট অফিস বন্ধ থাকবে।

শিপন তালুকদার/আরকে