জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজেন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে কর্মশালা অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে মিডিয়া রিসোর্স ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), ইউএসএআইডি ও ইন্টারনিউজ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

দুটি সেশনে কর্মশালা প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয়। ‘ডিজিটাল হাইজেন’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী। 

ডিজিটাল হাইজেন শীর্ষক সেশনে ডিজিটাল হাইজেন কি, কীভাবে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ রাখবেন, সাইবার নিরাপত্তা কীভাবে বজায় রাখবে এবং এক্ষেত্রে কি কি করণীয়-সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিজেকে নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ডেটা এনক্রিপ্ট করা, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা ইত্যাদি ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে তাগিদ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনে কীভাবে তথ্যবিভ্রাট হয়, গুজব কীভাবে ও কারা ছড়ায়, কীভাবে ফ্যাক্ট চেকিং ও ভেরিফিকেশন করতে হবে তা হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই চার-পাঁচটা পত্রিকা পড়ি। এরপর সকালের কাজ শুরু করি। এ অভ্যাস আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের পত্রিকা পড়তে হবে। তবে অনলাইনে পত্রিকা পড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। 

উপাচার্য আরো বলেন, আমারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করি। কিন্তু সতর্কভাবে লেখালেখি করছি না। যাতে করে অনেক মিসইনফরমেশন-ডিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছে। যদিও করোনাকালীন বিভিন্ন মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন বেশি ছড়ানো হয়েছে। সে সময়ে তিনি বিভিন্ন টিভি টকশোতে এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলেও জানান।

এমএল/জেডএস