চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে রাজধানীর পূর্বাচলে বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল গড়তে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো চিকিৎসা অনুষদ নেই। বেইজিং, টোকিও, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ পৃথিবীর প্রায় সন বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্ব স্ব দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। জমি পাওয়া গেলে পূর্বাচল ক্যাম্পাসে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল গড়ে তোলা হবে। 

উপাচার্য আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ফার্মেসি, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান, বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্সসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও মেডিকেল শিক্ষায় অবদান রাখছে। মেডিকেল ফ্যাকাল্টি গড়ে তোলা সম্ভব হলে সমন্বিত প্রচেষ্টায় তা বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

পূর্বাচলে ঢাবির গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক গবেষণানির্ভর একটি ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কোলাহল ও দূষণমুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। ২০১৭ সালে পূর্বাচলে একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্লট পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজউক বরাবর আবেদন করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজউক পূর্বাচলে প্রায় ৫২ একর জমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাথমিক বরাদ্দ দেয়।

এদিকে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বার্ষিক সিনেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, সিনেট সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমজে