সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। 

আজ (বুধবার) কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শিক্ষকরা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছেন। তবে চলমান পরীক্ষাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে৷

এর আগে গত ২৪ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার-বৃহস্পতিবার (২৫-২৭ জুন) অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, তিন দিনব্যাপী চলমান এ কর্মসূচিতে পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে। তবে ক্লাস নেওয়া হবে না। কোনো শিক্ষক তাদের অফিসে যাবেন না, স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে বিরতি নেবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, দ্বিতীয় দিনও আমরা আমাদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। আজকেও শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন না। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো যথাযথভাবে চলছে। এছাড়া পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ভিত্তিতে আমরা আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মসূচি শুরু হবে। সেদিন থেকে কোন ক্লাস চলবে না, পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত। 

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। 

কেএইচ/এনএফ