কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রিডিং রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার সকালে ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ সময় ‘বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় তাকে।
বিজ্ঞাপন
মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শেফা নুর ইবাদী। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন বঙ্গমাতা হলের ১৪১১ নম্বর কক্ষে। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোন পেলে রহস্যের জট খুলবে।
সহপাঠীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে শেফার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। রোববার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সেই প্রেমিক শেফাকে থাপ্পড় দেন। এর জেরে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারণা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সেলিং অ্যান্ড গাইডেন্স সেন্টারও চালু করেছে। তারপরও এমন ঘটনা দুঃখজনক।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ