প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামন থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পার্কের মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামনে বিক্ষোভ করেন।

মানববন্ধনে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিদের চাকরিতে সিংহভাগ কোটা দেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নারীরা সিংহভাগ কোটা পেয়ে থাকেন। তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি এবং নারী না হয়ে কি ভুল করেছি? এটা আমাদের অন্যায়? আমরা শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, তারা দেশের সূর্য সন্তান। কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও পরিশ্রম কম করে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক ব্যবস্থা হতে পারে না।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল কবির বলেন, কোটা পদ্ধতি সমান অধিকারের দাবিতে সংঘঠিত মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষ নেবে না।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা কোটা প্রথা-মানি না মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল করো-করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। 

শিপন তালুকদার/আরএআর