একই অভিযানে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করা ডা. বাবর আলী বলেছেন, যখন আমি কোনো পাহাড়ে উঠতে যাই তখন মনে করি এটা শুধু যাত্রা নয়, তীর্থযাত্রা। পাহাড়ে উঠলে নিজেকে একদম ছোট্ট মনে হয়। এই জিনিসটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সবাইকে মাউন্টেন এভারেস্ট জয় করতে হবে এমন কোনো কথা নয়, প্রত্যেকের নিজের লাইফে অনেক মাউন্টেইন রয়েছে সেগুলো জয় করুন।

গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের মিলনায়তনে চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে এভারেস্ট জয়ের অনুভূতি জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. বাবর আলী বলেন, হালদা পাড় থেকে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানো আমার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। আমি প্রথমে বান্দরবানের পাহাড়গুলো থেকেই ক্লাইম্বিং শুরু করেছিলাম। সেখানেই নিয়মিত ওঠার অনুশীলন করেছি। পরে এভারেস্ট জয় করলাম। মাউন্টেইন ক্লাইম্বিংকে সবাই স্পোর্টস হিসেবে না বরং জীবনাদর্শ হিসেবে দেখে থাকেন। এখানে জীবনের অনেক কিছুই শেখার আছে। উত্থান আছে পতন আছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানে নিজেদের বক্তব্যে জীবনের গল্প তুলে ধরেন স্বাধীনতা পদক বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসিনা খান, লেখক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রখ্যাত বিতার্কিক ও উপস্থাপক ডা. আব্দুন নুর তুষার, গীতিকার ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব আসিফ ইকবাল, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি, চবি অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরিয়া এবং মিস বাংলাদেশ ২০০৭ জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। 

তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। লিড অর্গানাইজার ও কিউরেটর নুসরাত আফরিন এবং সিলভিয়া নাজনীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। আয়োজক হিসেবে সিইউআরএইচএস এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাহমুদ শরীফ ও কাবেরী দাশ।

আতিকুর রহমান/এনএফ