ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ফুয়াদকে অব্যাহতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে ফুয়াদকে অব্যাহতির কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে অব্যাহতির বিষয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেত্রীর বিয়ের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর মর্যাদা দাবির বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে গতকাল রাতে জেরিন নামে এক নারীকে বিয়ে করার কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ফুয়াদ। আবার আজকে তিনি সেই পোস্টকে এডিট করে লিখেন ‘Way to be married’. পদে থাকা অবস্থায় বিয়ে করার কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের একজন নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেত্রী। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সেই নেত্রী ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগও করেন। অভিযোগপত্রে তাদের ২০১৬ সালে বিয়ে হয় বলে জানান তিনি। তবে বিয়ের সকল ডকুমেন্টস ফুয়াদ গোপন রেখেছেন বলে জানান তিনি। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই নেত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বিষয়গুলো জানালে তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মীমাংসার দায়িত্ব দেন।
মন অভিযোগ অস্বীকার করে গত বছরের ৩ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ফুয়াদ। এতে ফুয়াদ ওই নেত্রীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বন্ধুত্বের সুবাদে নিজের মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করে পরবর্তী সময়ে ওই নেত্রী তার বাসা ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ দিতে তাকে বাধ্য করে। টাকা না দিলে ফেসবুকে ছবি বিভিন্নভাবে পোস্ট করে সম্মানহানি করার হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত এপ্রিলেও এআই দিয়ে অপ্রীতিকর ছবি-ভিডিও বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় এ জিডি করেন ফুয়াদ।
কেএইচ/এসকেডি