জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম (খতিব) মো. সালাহউদ্দিন আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাকে মৌখিকভাবে নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে  তার বিষয়ে যে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা তদন্ত চলমান থাকবে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ১৫ মে রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী ঘুমন্ত অবস্থানের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মসজিদের ইমামসহ (খতিব) সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কোনো কোনো গণমাধ্যম খতিবকে অপসারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, যা অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। 

এদিকে ইমামকে নামাজ পড়ানো থেকে মৌখিকভাবে বিরত থাকতে বলা হলেও তাকে আজ জুমার নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের জুমার নামাজের খতিবের দায়িত্বও পূর্বের ন্যায় পালন করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইমামকে মৌলিকভাবে নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। আজকে সেই বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিয়ে তাকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিষয়ে যে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে তদন্ত চলমান থাকবে। 

এমএল/এমএসএ