জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, আমি উপাচার্য হয়ে আসার পর কয়েকটা সিন্ডিকেট করেছি। এই সিন্ডিকেটেই শিল্পী অধ্যাপক হয়েছেন। সে মৃত্যুর আগে জেনে গিয়েছেন। এটা তার স্বপ্ন ছিল। এর জন্য তিনি পরিশ্রম করেছেন। শিল্পীর যতগুলো আর্টিকেল আছে সে আর্টিকেলগুলো নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশনা হবে। এটার সার্বিক খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে। আশা করি এ বইটি আমরা সামনের একুশে বইমেলায় রাখতে পারব এবং শিল্পীর দুই ছেলেকে এটা আমরা উৎসর্গ করছি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিল্পী খানমের অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। মৃত্যু স্বাভাবিক। শিল্পী খানমের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। আমার কাছের মানুষ আমার ভাইও মারা গিয়েছে। বৃদ্ধ মানুষ মারা গেলে সেটি আমরা মেনে নিই। কিন্তু শিল্পী খানম অকালে চলে গেলেন। শিল্পী ১০ বছর এখানে শিক্ষকতা করেছেন।

প্রয়াত অধ্যাপকের স্মরণে প্রশংসা করে সহকর্মীরা বলেন, আমাদের শিল্পী ম্যাম অনেক ভালো মানুষ ছিল। তার সততা ও পরিশ্রম ছিল সবার চেয়ে বেশি। একজন ভালো শিক্ষক ও ভালো মানুষ হারিয়েছে বাংলা বিভাগ।

এসময় স্মরণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান, অধ্যাপক শিল্পী খানমের স্বামী কাজী শফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, অধ্যাপক শিল্পী খানমের দুই ছেলে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত, গত রোববার বোন ম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান রেখে গেছেন। 

এমএল/এমএ