জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে এবং আইনাঙ্গনে নারীদের বিচরণ বাড়াতে হবে।

বুধবার (২৯ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ আয়োজিত তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, নারীদের পরিশ্রম করতে হবে। বেশি বেশি পড়ালেখা করতে হবে এবং সমাজ সচেতন হতে হবে। তাদের লইয়ার হতে হবে। এজন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

এসময় উপাচার্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, যেকোনো কাজ থেকে বিরতি ও অব্যাহতি শব্দ দুইটা আলাদা। মিস ইনফরমেশন ও ডিস ইনফরমেশন থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন শব্দের তারতম্য আমাদের বুঝতে হবে। ফেসবুকে অতি উৎসাহী এক্টিভিটিস্টরা এটিকে গুলিয়ে ফেলে কনফ্লিক্ট তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, আমাদের বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থা দেখতে হবে। সিভিল মামলায় ৯০ ভাগ ভূমি সম্পর্কিত আর ফৌজদারি মামলায় ৪০ থেকে ৫০ ভাগই আসে ভূমির বিরোধ নিয়ে। ভূমি আইন বুঝলে সমাজেরই উপকার হবে। ভালো আইনজীবী হতে ভালো মানুষ হতে হবে। নৈতিকতা ঠিক রেখে মানুষের সেবার লক্ষ্যে আমাদের এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একসময় বিচার বিভাগে নারীদের নেওয়া হতো না। আইনে এটা ছিল না। এটা চেঞ্জ করেন বঙ্গবন্ধু। আইন পরিবর্তন করে তিনি বলেন, সবাই এই পেশায় আসতে পারবে। এখন নারীরা সব পর্যায়েই বিচারক হচ্ছেন। কোটায় না, প্রত্যেকে নিজ যোগ্যতায় আসছেন। প্রধান বিচারক হিসেবেও হয়তো নারীরা আসবেন খুব দ্রুত।

অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের দুই বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকার চেক ও একটি বই তুলে দেন অতিথিরা। এসময় অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমি তৃণমূল পর্যায়ের একজন উকিল। গত চল্লিশ বছর থেকে এ পেশায় আছি। আমি যা অর্জন করেছি তার দশ ভাগ আমার ছেলেমেয়ের জন্য রেখে বাকি নব্বই ভাগই দান করে দিয়েছি। মৃত্যুর আগে যেন কষ্ট কম পেয়ে চলে যেতে পারি সে দোয়া করবেন। তপন বিহারী নাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্ট বৃত্তি চালু করেছেন।

অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের প্রভাষক মাহমুদা আমীর ইভার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইন অনুষদের ডীন ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শারমীন আখতার। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর এবং আইন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএল/পিএইচ