রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনলাইনে একযোগে মিলবে সব বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল। বুধবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 

এ সময় উপাচার্য বলেন, আমরা একটা নতুন যুগে পদার্পণ করতে চলেছি। আপনারা যে পদ্ধতিটা দেখলেন এটা চমৎকার একটি পদ্ধতি। এরপরও আরও অনেক কিছু এটার সাথে যুক্ত করব। আমরা ট্রায়ালের মাধ্যমে শুরু করেছি। আমরা কাজ করব, কাজ করতে করতে বুঝব। আমাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব। কারণ আমাদের কাছে সার্পোটিং স্টাফ রয়েছে। আমাদের অ্যাকাউন্টস অটোমেশনে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইসিটিসহ সবকিছু ‘আমব্রেলা’ পদ্ধতির আওতায় চলে যাচ্ছে। 

এখনো অনেক শিক্ষক রয়েছেন যাদের ই-মেইল নেই, তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলকে বলে দিয়েছি যাদের ই-মেইল নেই তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।

এ সয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমরা যতই ডিজিটালাইজ করি না কেন আমাদের নিজেদেরও স্মার্ট হতে হবে। কারণ একজন শিক্ষার্থীর কোনো পাওনা আছে কিনা সেটা হল প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগের চেয়ারম্যানের অনলাইনে জানাতে হবে। তাছাড়া হলগুলো ও বিভাগীয় যে কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদেরকেও স্মার্ট হতে হবে। কারণ এখন তাদের কাছে আগের মতো কোনো চিঠিপত্র যাবে না। তাদেরকে আমরা শুধুমাত্র মেইল করব এবং নির্দিষ্ট একটি সময় থাকবে ওই সময়ের মধ্যেই তাদেরকে সাবমিট করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাবমিট করতে না পারলে তাকে ডিউ প্রসেসে আসতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)  অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, সকল অনুষদের ডিনবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিতে যে শিক্ষকেরা খাতা দেখবেন বা খাতা কাটবেন তারাই শুধু উনাদের অংশটুকু সার্ভারে দেবেন। সার্ভারে অটোমেটিকভাবে রেজাল্ট তৈরি হয়ে যাবে। ফলে রেজাল্ট তৈরির জন্য অতিরিক্ত কমিটি করা লাগবে না। একই সঙ্গে সব ডিপার্টমেন্ট একসাথে করলে ফলাফলে ভুল হওয়ার চান্সও কম থাকবে। 

জুবায়ের জিসান/আরএআর