প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

এরপর অনুষ্ঠিত সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। চেনা স্বজন, নিজ দেশের মানুষকে দেখতে তিনি দেশে ফিরেছেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ২১ বছর পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশ অনেক বেশি উন্নত হবে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছিলাম। তবে সেদিনের একটি সৌভাগ্য হলো আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অক্ষত পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশের শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে। এসব উপেক্ষা করে আজকের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে দুই কোটি ভূমিহীনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসেন। এরপর ভয়াবহ বন্যায় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হলে তাদেরকেও আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন কারাগারে জীবন পার করেন।

তিনি আরও বলেন, আজ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই। দেশের ১৭ কোটি মানুষের আনন্দই প্রধানমন্ত্রীর আনন্দ। আর এই আনন্দকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। ছাত্রলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে কেউ প্রধানমন্ত্রীর চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারবে না। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক বাবু সজল কুন্ডু, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম প্রমুখ।

কেএইচ/এমজে