যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বিরোধী শিক্ষার্থীদের ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টে’ সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘Solidarity With Free Palestine Movement in American University’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

আয়োজক শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী গত ৭ অক্টোবর থেকে যে নারকীয় গণহত্যা শুরু করেছে এর প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা ও গাজার গণহত্যায় সমর্থনকারী সবার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক ইসরায়েলকে গণহত্যায় মদত দেওয়ার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে স্লোগান তুলছে।

তিনি বলেন, এ আন্দোলনে নারকীয় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ। লেলিয়ে দিয়েছে মুখোশধারী জায়নবাদীদের। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহুর্মুহু গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে ২ হাজার দুইশর বেশি শিক্ষার্থীকে। নির্যাতন সহ্য করে শিক্ষার্থীরা তাদের লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা বসে থাকতে পারি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত আমেরিকান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানানো ছিল সময়ের দাবি। তাই আগামীকাল (রোববার) এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া নির্যাতনের  বিচার চাই। গাজায় চলমান গণহত্যার অবসান ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই।

আরেক শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে। তারই ধারাবাহিকতায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টের সঙ্গে সংহতি জানানোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারী, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে আগ্রাসী জায়োনিস্টরা। এর বিরুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিবাদ।

শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, বিশ্বখ্যাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তার, বহিষ্কারাদেশ উপেক্ষা করেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করা আমাদের মনুষ্যত্বের দাবি। নৈতিক জায়গা থেকে আমরা এমন একটা আয়োজনে উপস্থিত থাকব। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবার উপস্থিতি কামনা করছি।

কেএইচ/এসএসএইচ