বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পছন্দের যে বিষয়গুলো রয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং তথা সিএসই। তথ্য প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা, তরুণ প্রজন্মের পারদর্শিতা, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, সৃজনশীল উদ্ভাবন, মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগই বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স-কে দিনদিন আগ্রহের শীর্ষ নিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা ও জনপ্রিয়তার এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং একটি প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির ব্যবহারে মৌলিকভাবে নিযুক্ত একটি বিষয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সফটওয়্যার, সিস্টেম ডিজাইন, উন্নত প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম, ডেটা স্ট্রাকচার, কম্পিউটার আর্কিটেকচার, অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সমান্তরাল কম্পিউটিং, এমবেডেড সিস্টেম সার্কিট অ্যানালাইসিস এবং ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল লজিক এবং প্রসেসর ডিজাইন, কম্পিউটার গ্রাফিক্স, বৈজ্ঞানিক সফটওয়্যার ইঞ্জিন, তথ্য ও তথ্যবিজ্ঞান, কম্পিউটার নেটওয়ার্কসহ আরও অনেক বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

অনেকেই মনে করে থাকেন, কম্পিউটার সায়েন্স মানেই প্রোগ্রামিংয়ের খেলা। কিন্তু বিষয়টি আদৌতে তা নয়। সিলেবাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম বছর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং যেমন সি, সি প্লাস প্লাস; দ্বিতীয় বছর ডেটা স্ট্রাকচার, অবজেক্ট ওরিয়েন্ডেটে প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম; তৃতীয় বছর অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়্যার, মাইক্রো কন্ট্রোলার, কম্পিউটার ইন্টারফেসিং ইত্যাদি; চতুর্থ বছর মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ জনপ্রিয় বিভিন্ন টপিক। অর্থাৎ চার বছর ধরে একজন শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারের যাবতীয় খুঁটিনাটি জানানোই এই সাবজেক্টের মূল উদ্দেশ্য। যেখানে একজন শিক্ষার্থী পুরো কম্পিউটার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়।

কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই

নানা বৈশিষ্ট্যে অনন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ। এর আগে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ আইইবি কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ। তারা জানান, নানা কারণেই সমৃদ্ধ গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ। এর অন্যতম কারণ হলো অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং আধুনিক ও মানসম্মত ল্যাবরেটরি। তাদের ভাষ্য, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শেখার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত হয়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শেখার জন্য শুধু অ্যাকাডেমিক বিদ্যাই প্রয়োজন তেমনটি নয় বরং বাইরে থেকেও অনেকে ভালো করছে। তবে যারা সিএসই থেকে গ্রাজুয়েশন করবেন, তারা নিঃসন্দেহে এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকবেন। 

গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আধুনিক ও মানসম্মত সব সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার সমৃদ্ধ ল্যাব যেমন আছে, তেমনি আছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা। এর বাইরেও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি ও ডিজিটাল সেমিনার লাইব্রেরি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

সিএসই বিভাগের বৈশিষ্ট্য

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতেও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসইর অবস্থান সুদৃঢ়। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ বিভাগে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ (বুয়েট, ঢাবি) ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর (পূর্ণকালীন) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে ওয়াইফাই সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস, কম্পিউটার ব্যবহারের অবাধ সুযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম; উন্নত এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সজ্জিত এনালগ ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব; কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ল্যাব; মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব; মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব; সফ্টওয়্যার শিক্ষার নিমিত্তে সর্বশেষ মডেল/কনফিগারেসন সমৃদ্ধ কম্পিউটার; উইন্ডোজ নির্ভর ও-লিনাক্র/ইউনিক্র ভিত্তিক ল্যাব; ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা-যা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত।

চতুর্থ শিল্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত পাঁচ বছর ধরে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ ও ৫.০’ সম্মেলন করে আসছে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ; যেখানে সিএসই বিভাগের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকে। দেশি-বিদেশি প্রথিতযশা ও খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং ইন্ড্রাস্ট্রি প্রফেশনালদের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের মতবিনিময় ও প্রফেশনাল রিলেশনশিপ তৈরির ক্ষেত্র হিসাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে এই সম্মেলন। এছাড়া প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ কম্পিউটার ও প্রযুক্তি নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান-সম্মেলন করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ।

কাজের সুযোগ

কম্পিউটার বিজ্ঞান একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক ধরনের রাস্তা খুলে দেয়। কেউ যদি চাকরি করতে চায়, সেই সুযোগ আছে এবং বাড়ছে। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে কাজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে চায়, তা-ও সে করতে পারে। আবার কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণারও সুযোগ আছে অনেক। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য যায়, তাদের একটা বড় অংশই কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতক। 

এছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো ডেভেলপ করা নিয়ে কাজ করতে পারেন। দক্ষতা এবং জ্ঞান যখন পরিপূর্ণতা পাবে তখন নিজে থেকে নতুন কিছু করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার, নেটওয়ার্কিংসহ নানান বিষয় নিয়ে কাজের সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিভিন্ন ব্যাংকেও আইটি অফিসার হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।

একইসঙ্গে সফটওয়্যার প্রকৌশলী, ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভেলপার, ডেটাবেজে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ডেভঅপস ইঞ্জিনিয়ার, এসকিউএ ইঞ্জিনিয়ার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, আইটি কনসালট্যান্ট, সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনার ইত্যাদি হিসেবেও কাজ করার সুযোগও রয়েছে।

ভর্তিসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির পূর্বাচল আমেরিকান সিটির ক্যাম্পাসে। যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৫৭০৭৪৩০১, ০১৭৫৭০৭৪৩০২, ০১৭৫৭০৭৪৩০৩, ০১৭৫৭০৭৪৩০৪ এসব নাম্বারে।

কেএ