সম্প্রতি জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ১৩ মার্চ ২০২৪ এর প্রজ্ঞাপনটি (এস.আর.ও নং ৪৭-আইন/২০২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টি গোচর হয়েছে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের স্বার্থের পরিপন্থি। কারণ, ১লা জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তী নতুন যোগদানকৃতরা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন মর্মে জানানো হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনটি যেমন বৈষম্যমূলক তেমনি অধিকার বিবেচনায় সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অদ্যাবধি প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে তা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষকগণ বড় ধরনের অবমাননাকর ও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ইহা উদ্দেশ্য প্রণোদিত পদক্ষেপ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনাকে ব্যাহত করার অপপ্রয়াস। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধার বঞ্চনামূলক এমন পদক্ষেপ উচ্চ মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত করবে, যা সার্বিকভাবে উচ্চ শিক্ষার অবনমন ঘটাবে বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আশঙ্কা করে।

সার্বজনীন পেনশন চালু হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যমান ব্যবস্থার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বিধায় তাদের মাঝে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ বৈষম্য, হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টিকারী প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

এ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা আসবে না বলেও মন্তব্য করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাশরিক হাসান। তিনি বলেন, অন্যান্যদের সঙ্গে এই প্রজ্ঞাপন সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাদর্শনের পরিপন্থি। এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে।

এমএল/এমএ