সুষ্ঠু, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরির লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তবে তার এই আশ্বাসের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পাঁচ স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরির আশ্বাস দেন উপাচার্য। 

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ্ সাকিব সোহবান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও নিরাপদ ক্যম্পাস গড়ার লক্ষ্য তারা কাজ করবেন। বিগত দিনে অভিযোগপত্র জমা হলেও তা তেমনভাবে আমলে না নিলেও এখন থেকে যেকোন অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রশাসন। 

এ সময় তারা ২০২২ সালের ৮ মার্চ অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান। আগামী ২৪ মার্চ (রবিবার) অংকনের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা। ওই কর্মসূচি থেকে পরবর্তী দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করাও হবে বলে জানান তারা।

স্মারকলিপির দাবিগুলো হলো— 
১. ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা হত্যার সমস্ত প্রমাণ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে।

৩. অংকন বিশ্বাসসহ পূর্বে দায়েরকৃত সকল অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. পূর্বতন প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করাতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৫. ফাইরুজ অবন্তিকা এবং অংকন বিশ্বাসের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্থায়ী ফলক নির্মাণ করতে হবে। 

গেল ১৫ মার্চ রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা কুমিল্লায় তার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। এর পর পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এবং একজন সহকারী প্রক্টরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ওই শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে এক ফেসবুক পোস্টে তার মৃত্যুর জন্য ওই সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরকে দায়ী করেছেন। 

এমএল/এনএফ