জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত থেকে উত্তেজনা চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এ ঘটনায় ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে আজও বিক্ষোভ করেন অবন্তিকার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিভ বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারসহ আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে আগামী সোমবার সকাল ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
১. ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
২. অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৩. জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
৪. ভিকটিমের (অবন্তিকার) পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে সহকারী প্রক্টর ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্রী। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামে ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
আরএইচটি/এমএল/এমএ