জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের লেখা কবিতা ও উপন্যাসের বিভিন্ন বই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় লেখক-পাঠক ফোরামের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরে আজ এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

তরুণ লেখকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেদের লেখা বই তুলে ধরতে ও অন্যদের লেখালেখি ও বই পড়ায় উৎসাহিত করতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লেখকদের লেখনীর ক্রমধারা সচল করতে ও পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে এমন আড্ডা ও প্রদর্শনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তরুণ লেখক ফয়সল আকন্দ বলেন, আমাদের উচিত সাহিত্যের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। এতে নতুনরা আগ্রহী হবে। পাশাপাশি যারা লিখছেন তাদের গতি বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রধান জায়গা, তাই এখানে আমাদের জানাশোনা কিছু হলেও বাড়বে এর মাধ্যমে। ধন্যবাদ জানাই যারা এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন, কবি-লেখক-পাঠকদের আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা আগামীতে আরও সমৃদ্ধ ও বড় পরিসরে এ আয়োজন অব্যাহত রাখব সবার সহযোগিতা পেলে।

আরেক লেখক সোহাগ ঘোষ বলেন, নবীন লেখকরা সমাজে দলিত শ্রেণীর মধ্যেই পড়ে। ধরেই নেওয়া হয় তাদের লেখার মান যথেষ্ট মান সম্মত হয়নি। অথচ না পড়ে মন্তব্য করাটা কতটুকু সমীচীন সেই প্রসঙ্গ অবান্তর নয়। নিজ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখা বইয়ের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের  আয়োজন,  প্রতিটি লেখকের কাছে স্বপ্নের মতো। আমরা আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তরুণ লেখক ও কবিদের উৎসাহ প্রদান করবে। 

প্রদর্শনীতে জায়গা পাওয়া বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— আতিক মেসবাহ্ লগ্নর মেঘবদল, সাকুরার আমি অবাস্তব আমি অদৃশ্য, সানোয়ার হোসেনের বুকের মিনারে বুনো কবুতর, ফয়সল আকন্দের ডাকনাম দিয়েছি চারু, জলচোখ, মুসাফিরের তাঁবু, চন্দ্রপুর, কারিশমা ওয়াজেদ শ্রেয়সীর অশ্বমেধ, আয়াতুল্লাহ আর মাহমুদের যেখানে দুঃখরা নিরাপদে বাঁচে, সোহাগ ঘোষের নতুন বই উপেক্ষা ও স্কলার্স, আবদুল্লাহ আলম নূরের একদিন বন্ধ হবে, ইমরান হোসাইন আদিবের ফুল মানুষ, কাঠ গোলাপ ও নিয়তির কাঁটাতার, মেহেদী হাসান উজ্জ্বলের যে প্রেম এসেছিল, তুমি নামের অসুখ ও স্মৃতি বিভ্রম ও ফারজানা আক্তার ঝিমির আমি কুৎসিততাকে খুঁজি। 

এমএল/এনএফ