জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, মাত্র সাত একরে ছেলেরা অমানবিক জীবনযাপন করছে। ছেলেদের জন্য আগে হল করা জরুরি। নতুন ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য আগে হল করা হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা চাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরাণীগঞ্জে সরকার যে জমি দিয়েছে সেখানে দৃষ্টি দেবেন। যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসে তা নিরসনের চেষ্টা করবেন। দ্বিতীয়  ক্যাম্পাস দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটা প্রয়োজন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ঘাট নির্মাণ, পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. সাদেকা হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। তিনি বিশাল মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে আমাদের এত বড় জায়গা দিয়েছেন। তিনি একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চান।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আমাদের কতটুকু হয়েছে, কী কারণে বাকি আছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। এ কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যেসব ব্যক্তি জড়িত আছেন তারা পরিশ্রম করছেন। আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের কাজে বেশ জটিলতা রয়েছে। যেসব কনসালটেন্ট আছে যাদের বারবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানে শিক্ষকদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই। শিক্ষকদের অংশগ্রহণটা এখানে জরুরি। আমাদের না হয়েছে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান, না হয়েছে ডিজাইন। বিল্ডিং ও হলগুলো দক্ষিণমুখী করতে হবে। যেখানে প্রাকৃতিক বাতাসের অবাধ চলাচল থাকবে। এতে করে জ্বালানি খরচ কমে যাবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণই সম্পন্ন হয়নি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করতে সবার সম্মিলিত চেষ্টা প্রয়োজন।

এসময় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রকৌশলীরা। ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতারা, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।

এমএল/এসএসএইচ