ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) নিজস্ব অফিসে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোস্যাইটির (ডিইউডিএস) একপক্ষের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ডুজা সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ রাজিব হোসাইন ও সামদানী প্রত্যয়। 

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় ডুজার নিজস্ব অফিসে গিয়ে তারা ক্ষমা চান। 

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ডুজার কার্যালয়ে তারা সমিতির সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। 

মোহাম্মদ রাজিব হোসাইন সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক ও হল ডিবেটিং সোস্যাইটির সাধারণ সম্পাদক। 

অন্যদিকে সামদানী সলিমুল্লাহ হল ডিবেটিং ক্লাবের বিতর্ক ও কর্মশালা সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দপ্তর সম্পাদক। 

সরজমিনে দেখা যায়, দুপুর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোস্যাইটির নির্বাচন উপলক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। ক্লাবের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চিফ মডারেটরের অনুমতিক্রমে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করলে দুপক্ষের মাঝে অসন্তোষ দেখা যায়। এ নিয়ে নির্বাচন বর্জনকারী পক্ষ মিছিল নিয়ে ডিবেটিং সোসাইটির সামনে ভিড় করেন। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন আজ দুপুরে বিতর্কের আয়োজন করলে বিপক্ষ গ্রুপের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নির্বাচন পক্ষের গ্রুপ সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের ইশতেহার ঘোষণা করতে চাইলে সাংবাদিক সমিতিতে বিতর্কে জড়ান দুই গ্রুপের সদস্যরা।

এসময় ডুজা'র সদস্য ও ডেইলি অবজারভারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাওসিফুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতা সামদানীকে ডুজা কার্যালয়ে হট্টগোল করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি নিষেধ অমান্য করে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। একসময় তার সঙ্গে থাকা রাজিবও খারাপ ব্যবহার করেন এবং তেড়ে আসেন।  

ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ডুজার সদস্যরা প্রতিবাদ জানান। এসময় এই কাজটি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অসৌজন্যমূলক বলে জানায় ডুজার সদস্যরা এবং অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। 

পরবর্তীতে ডুজার সদস্যদের দাবি সাপেক্ষে নির্বাচন বর্জনকারী গ্রুপের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সামদানী প্রত্যয় ও শেষ পর্যায়ে রাজিব ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে ডুজা সদস্যদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে রাজিব বলেন, সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আমার করা উচ্চবাচ্যের জন্য আমি দুঃখিত। এজন্য আমি সাংবাদিক সমিতির সকলের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি সমিতির সদস্যরা বিষয়টিকে একটি ভুল-বুঝাবুঝি হিসেবে নিয়ে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

কেএইচ/এমএসএ