জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, আমি কখনো সিকিউরিটি নিয়ে চলাচল করি না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার সন্তান। তারাই আমাকে দেখে রাখবে। খুব শিগগিরই আমরা ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেব। আমি ট্রেজারারকে বলেছি প্রত্যেক বিভাগ থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে। তাদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব। 

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সাদেকা হালিম বলেন, ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধিতে কাজ করব। এতো শিক্ষার্থী যখন ৭ একরের ছোট ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় তখন আমাদের খারাপ লাগে। তারা খোলা মাঠে খেলাধুলা করবে, আড্ডা দেবে। কিন্তু সেটা এখানে হয় না। এজন্য আমরা নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। সবার আগে যেন দ্রুত শিক্ষার্থী হল করা যায় সেটার ওপর নজর দেব।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ শুধু একটি রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী ভূরাজনৈতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। ভূরাজনীতির কারণে বাংলাদেশ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই আমেরিকার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে যেমন তার বেড়ে ওঠা, রাজনৈতিক দিক উঠে এসেছে। তেমনই তার ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা ফুটে উঠেছে। জাতির পিতা জানতেন কাকে কীভাবে সম্মানিত করতে হয়। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে চারটি স্তম্ভের কথা বলেছেন। তার মধ্যে তিনি সমাজতন্ত্রের কথা বলেছে। সমাজতন্ত্র বলতে তিনি সবাইকে সমান হিসেবে দেখেছেন। তার জীবনী থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষা নিতে পারে।  

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনো সক্রিয়। এগুলো প্রতিহত করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের যে ঘটনা যদিও বিচ্ছিন্ন, তবুও তা কাঙ্ক্ষিত নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা যখন তার জুনিয়র এক ছোট ভাইয়ের গায়ে হাত দেয় তখন আমরা বিব্রত হই। ছাত্রলীগের যারা আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, আমরা যেন জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত হই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো এ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। বর্তমানে পাকিস্তানে নির্বাচন হচ্ছে, অথচ পশ্চিমা দেশগুলো কথা বলে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে যে ন্যায্য হিস্যা পাবে তা নিয়েও কথা বলে না। 

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী।

এমএল/জেডএস