আর কোনো ক্যাম্পাসে যেন যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের মতো ঘটনা না ঘটে সে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে হলে আটকে রেখে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। 

এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস-ধর্ষণ বন্ধ করো, রুখে দাঁড়াও’, ‘সারা দেশে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’ ‘বাংলার মাটিতে ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধ করো’, ‘নারীর চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’, ‘জাবিতে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের কোনো ক্যাম্পাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা যেন আর না ঘটে। শুধু ক্যাম্পাস নয়, সারা দেশেই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরো বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের জ্ঞানচর্চার মেরুদণ্ড। সেখানে যখন এমন ঘটনা ঘটে তখন তা দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, সব দোষীর গ্রেপ্তার এবং বিচার চাই। আমরা মনে করি, নারীর ওপর এই সহিংসতার পেছনে মূল কারণ নারীর ওপর পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রদর্শন এবং সন্ত্রাস-সহিংসতাভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা। যে সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো এ ধরনের চর্চা করে আমরা তার বিরোধী। আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছি। সব ধরনের লিঙ্গগত বৈষম্য ও সহিংসতার বিরোধিতা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএইচ হলের পাশের জঙ্গলে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ আবাসিক হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।

আরএইচটি/কেএইচ/পিএইচ