ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত করা হয়।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সাময়িক বহিষ্কার, সনদপত্র স্থগিত এবং তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তাকে সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেন ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, একই বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। এদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় আশুলিয়া থানার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া অপর আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান। 

এএএ