স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মেট্রোরেলে ভাড়া কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। 

আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়ে টিএসসি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ভ্রমণ শেষে উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

চলতি মাসের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি স্টেশন চালুর পর এই প্রথম সকল শিক্ষক উপাচার্যের নেতৃত্বে একসঙ্গে মেট্রোরেলে উঠলেন। সকালে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা টিএসসি স্টেশন থেকে একসঙ্গে উত্তরায় যাত্রা করেন। চল্লিশ মিনিটেই উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছান সবাই। সেখানে সবাই স্টেশন ঘুরে দেখেন। পরবর্তীতে মতবিনিময় সভা শেষ করে সেখান থেকে আবার মেট্রো রেলে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরেন তারা।

মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সচরাচর মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারলে মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা, সরকারের উন্নয়ন এবং উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা পাবে। ফলে তাদের মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে গর্ববোধ করবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় আরও দৃঢ়তর হবে। তাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ভাড়া কমানো প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর দ্রুত ও আরামদায়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক। কর্মজীবী মানুষের যাতায়াত সহজ হওয়ায় শ্রম ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা সর্বাধিক সেবা প্রদান করতে পারছেন। এ ছাড়া মেট্রোরেলে যাতায়াতের ফলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমছে এবং এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও কমার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, আজকের জার্নিটা একসঙ্গে গর্বের আর অহংকারের ছিল। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মেট্রোরেল বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচায়ক এবং মর্যাদার প্রতীক। বিশ্বের অনেক দেশে মেট্রোরেল নেই, নিজস্ব স্যাটেলাইট নেই, পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা নেই, এসব আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন আমাদের হয়েছে এবং হচ্ছে। সে কারণে জাতি হিসেবে আমাদের মনোবল বেড়ে গেছে। নিকট ভবিষ্যতে আমরা উন্নত দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হব, সেটি আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ সরাসরি মেট্রোরেলের সুবিধাভোগী হবে। তাদের সময় বাঁচবে, পড়ালেখায় আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবে। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণের চেয়ে ভাড়া কম রেখে টিকিটের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন ও ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ।

কেএইচ/এনএফ