একটি স্বার্থান্বেষী মহল কুৎসা রটনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত অবস্থান বিনষ্ট ও হেয় প্রতিপন্ন করতে ‘যৌন হয়রানি’র অভিযোগ তুলেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে তোলা শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির বিষয়ে ঢাকা পোস্টের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে ভারত থেকে ফিরে তিনি মিথ্যা অপবাদ, কুৎসা রটনা ও মানহানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লিপিও প্রকাশ করেন।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক টানা কর্মব্যস্ততায় সাংবাদিক বন্ধুরা আমার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাননি। একটি মহল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব মহলের কাছে আমার অনুরোধ, অসত্য অভিযোগ দিয়ে এ দেশের শিক্ষার বাতিঘর সম্মানিত শিক্ষকগণকে যেন হেনস্তার শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপার সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখবেন। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মিথ্যা অপবাদ ও হেনস্থার বিরুদ্ধে জাতির দর্পণ সাংবাদিক বন্ধুদের সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকার আহ্বান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজ কক্ষে ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরে গত ২৮ নভেম্বর ঘটনার বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। 

তারপর ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় তিন সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।

কেএইচ/কেএ