ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিনটি হলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভূমিকম্পের সময় এসব ফাটলের সৃষ্টি হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হল তিনটির শিক্ষার্থীরা। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। 

তিনি জানান, ভূমিকম্পের সময় নজরুল হলের দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে, বঙ্গবন্ধু হলের ২০৯ নম্বর কক্ষের দেয়াল, পাঁচতলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুইটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও ব্লকের সংযোগস্থলের করিডোরে নতুন ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ব্লকের দুই করিডরের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচ তলাব্যাপী ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের পাঁচ তলার ৫০৩ ও ৫১১ নম্বর কক্ষে এবং চার তলার ৪০৩ নম্বর কক্ষের সামনের পিলারের নিচে নতুন ফাটল দেখা গেছে। এ ছাড়া ফাটল সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ৫০০১ নম্বর রুমের দেওয়ালে ও শেখ হাসিনা হলের রিডিং রুমের পলেস্তারা উঠে গেছে।

প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার পর প্রকৌশলীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকৌশলীরা ঘুরে ঘুরে দেওয়ালগুলো দেখেছেন। তারা জানিয়েছেন, এগুলো মেজর বা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কিছু নয়। শুধু দেওয়ালের জয়েন্টগুলোতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। তবুও তারা আবারও ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অপ্রীতিকর কিছু লক্ষ্য করলে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এসবের মেরামত কাজ করা হবে। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী এসএম শহিদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে-সব ফাটল সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আজকের ভূমিকম্পে মেইন স্ট্রাকচারে ঝাঁকুনি লাগেনি। ফলে এটা ভবনে কোনো ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে না।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএফএম আব্দুল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

আরিফ আজগর/এএএ