ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সাংবাদিকের কক্ষের তালা ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্তকে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় হলের দুজন হাউস টিউটরের উপস্থিতিতে নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া, ছাত্রলীগের হল সেক্রেটারি মিশাত সরকার, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক ঢাবি সভাপতি শিমুল কুম্ভকার, ছাত্র ইউনিয়নের বর্তমান সেক্রেটারি মাঈন আহমেদ, ছাত্রশক্তির ঢাবি সদস্য সচিব মো. আবু বাকের মজুমদারসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না আনা হয় তাহলে আমরা অন্যান্য ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের রুমে তালা দেব। 

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, হলের হাউজ টিউটররা বললেন- আমরা অভিযুক্তদের ডাকলে তারা যদি সাড়া না দেয় তাহলে অপরাধী শনাক্ত করতে বেশি সময় লাগতে পারে। প্রশাসন ব্যর্থ হলে আমরা বুঝে নেব হলে প্রশাসনের কোনো কাজ নেই।

ছাত্রশক্তির ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মো. আবু বাকের মজুমদার বলেন, এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন বরাবরই নিশ্চুপ রয়েছে। আমরা ছাত্র সংগঠনগুলো বারবার প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পাইনি।

এ বিষয়ে হলের হাউজ টিউটর জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী নোমান বলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইবো। তারা যদি না আসে তাহলে চিঠির মাধ্যমে তাদের জবাবদিহিতা চাইবো। আশপাশের রুমে যারা ছিল, তারা তালা ভাঙার বিষয়টি দেখেছে বা কোনো শব্দ শুনেছে কি না তা তদন্ত করবো এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কেএইচ/এমজে