মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক জুলফিকার আহম্মদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫২৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সিন্ডিকেটের এক সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওই সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে অধ্যাপক জুলফিকার আহম্মদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। সেই প্রেক্ষিতে গত সিন্ডিকেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একই অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪৮তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি। তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে একই সময়ে পূর্ণকালীন চাকরি করেছেন। 

ঘটনাটি তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম বলেন, পূর্বের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। 

জুবায়ের জিসান/আরএআর