ক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ভিসি আসে ভিসি যায় লাইব্রেরির কোনো পরিবর্তন নাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে তা নিরসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে লাইব্রেরির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘এক দফা এক দাবি, নিরাপদ লাইব্রেরি’, ‘দাবি মোদের একটাই- নিরাপদ লাইব্রেরি চাই’, ‘ভিসি আসে ভিসি যায়- লাইব্রেরির কোনো পরিবর্তন নাই’ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— লাইব্রেরির পাঠকক্ষে আসন সংখ্যা কম, সাইকেল চুরি হয়, বই চুরি হয়, পর্যাপ্ত সিসিটিভির নজরদারি নেই, নিয়মিত অধ্যয়নরত প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ওয়াশরুম মাত্র ১৮টি, মেয়েদের ওয়াশরুম-কমনরুম ব্যবহারের প্রায় অনুপযুক্ত, পানির ফিল্টার প্রায়ই নষ্ট থাকে, যানবাহনের বিকট আওয়াজ পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেট্রোরেলের আওয়াজ, বহিরাগত শিক্ষার্থীরা প্রায় লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে, তাদের শনাক্তকরণের কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই, আশপাশে কোনো ক্যান্টিন নেই, লাইব্রেরিতে প্রবেশকালীন সময়ে প্রতিদিন বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে— তা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ নেই এবং গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা নেই।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারায়। আমরা প্রতিদিন এখানে ১৫০০ থেকে ২ হাজার ছাত্র পড়াশোনা করি। কিন্তু তার বিপরীতে ওয়াশরুম মাত্র ১৮টি। টিসিবির লাইনের মতো ওয়াশরুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকবার এ বিষয়ে বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ক্ষুব্ধ আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমরা রোববার ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিয়ে সেমিনার ও হলের রিডিংরুমে পড়ার পরামর্শ দেন। শুধু লাইব্রেরিতে সাউন্ড প্রুফ গ্লাস লাগানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, উপাচার্য মহোদয় আমাকে ডেকে আশ্বাস দিয়েছেন— ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
কেএইচ/পিএইচ/এমজে